ভারতের মতো পাকিস্তানও সন্ত্রাসের শিকার। চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহঙের এহেন মন্তব্যে এখনও চুপ কেন কেন্দ্র? এবার এই প্রশ্নটিই তুলল কংগ্রেস। হাত শিবিরের একাধিক নেতার কথায়, “সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে কখনই এক আসনে বসানো যায় না। দেশের স্বার্থে কেন্দ্রের উচিত এর কড়া জবাব দেওয়া। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তারা এখনও চুপ।”
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরযেওয়ালা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারতে দাঁড়িয়ে গৌতম আদানিদের সাহায্যপ্রাপ্ত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চিনা রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে এক আসনে বসাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের মতো ইসলামাবাদও সন্ত্রাসবাদের শিকার। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানকে এক আসনে বসানো অন্যায্য। মোদি সরকার কি এরপরও নীরব দর্শক হয়ে থাকবে নাকি দেশের স্বার্থে মুখ খুলবে? বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের উচিত আদানিদেরও প্রশ্ন করা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সীমান্তে আমাদের জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন, আমাদের ভূখণ্ড দখল করে নেওয়া হচ্ছে, চিনের সমর্থনে ভারতের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান, দেশে দাঁড়িয়ে দেশকেই অপমান করা হচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই শক্তিশালী বিদেশনীতির পারিচয় নয়। বিজেপি এবং মোদি সরকারকে এর জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আদানিদের সাহায্যপ্রাপ্ত একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের মতো পাকিস্তানও সন্ত্রাসের শিকার। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব। মোদি সরকারের বিদেশনীতি যথেষ্ট দুর্বল।” চিনা রাষ্ট্রদূতের এহেন মন্তব্যের পরই বিতর্ক তৈরি হয়। এবার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরযেওয়ালা।












