Read More

প্রধানমন্ত্রীকেও রেয়াত নয়, সংবিধান সংশোধনী বিলে নিজেকে ছাড়ের প্রস্তাব খারিজ করেন খোদ মোদি!

সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত এই বিলে শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ রাখার.....

সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত এই বিলে শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে সে প্রস্তাব খারিজ করে দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। চলতি সপ্তাহে সংসদে তিনটি বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। যেগুলি হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (সংশোধনী) বিল, ২০২৫, সংবিধান (একশত ত্রিশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৫, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। এই বিলে বলা হয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অথবা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এমন অপরাধে গ্রেপ্তার হন এবং কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে রাখা হয়, তাহলে ৩১তম দিনে তিনি তাঁর পদ হারাবেন। কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।

এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানায় নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কথা তুলে ধরেন রিজিজু। তিনি বলেন, “এই বিল নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার সময় দ্বিমত পোষণ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কারণ বিলে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। নিয়মে কোনও ব্যতিক্রম রাখা হবে না বলে জানিয়ে মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও একজন নাগরিক, এবং তাঁর বিশেষ সুরক্ষা থাকা উচিত নয়। বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দলের। আমাদের লোকেরা যদি ভুল করে, তাহলে তাঁদেরও পদত্যাগ করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রীর এই নৈতিকতার প্রশংসা করে রিজিজু বলেন, “বিরোধীরা যদি নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখত তাহলে অবশ্যই এই বিলকে স্বাগত জানাত।”

সংসদে পেশ হওয়ার পর এই সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিলটির জন্য ৩১ সদস্যের একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে নিম্নকক্ষ থেকে ২১ জন এবং রাজ্যসভা থেকে ১০ জন সদস্য রয়েছেন। কমিটিকে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে শীতকালীন অধিবেশনের সময় তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এসআইআর বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে অপব্যবহারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য ইডি-কে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিল পেশ করে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।

Thank You for Reading – Political Daily

Thank you for taking the time to read our news at Political Daily.
We appreciate your trust in our platform as your source for reliable and timely Indian news.Your support encourages us to continue delivering accurate, unbiased, and impactful stories that matter to you.

Stay informed. Stay connected.
– Political Daily