দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির সিং এর হাট এলাকায় ভোররাতে হনুমানজির সিমেন্টের মূর্তি ভেঙে ফেলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দির চত্বরে এসে দেখতে পান, হনুমানজির সম্পূর্ণ সিমেন্টের মূর্তিটি বেশ কয়েক জায়গায় চূর্ণবিচূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেই জেহাদীরা মূর্তি ভাঙচুর করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ মানুষজন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন। সকাল থেকেই অবরোধের জেরে কুলপি-কাকদ্বীপ রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রশাসন যতক্ষণ না দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা অবরোধ তুলবেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, “এটা একদিনের ঘটনা নয়। বারবার একই ধরনের ভাঙচুর হচ্ছে। কিন্তু দোষীরা শাস্তি না পাওয়ায় এই ঘটনা পুনরায় ঘটছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” স্থানীয়দের দাবি, রাতের পাহারার ব্যবস্থা বাড়ানো হোক, এবং মন্দিরগুলির নিরাপত্তায় সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ নিক প্রশাসন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কুলপি থানার পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেলার একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠন ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের দাবি— ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুর যে কোনও পরিস্থিতিতেই বরদাস্ত করা যায় না, প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তি বজায় রাখার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং দোষীদের আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বর্তমানে পরিস্থিতি টানটান, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।















