এষণা কুন্ডু,পলিটিক্যাল ডেস্ক: জার্মানির আউসবার্গ (Augsburg) অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অধ্যাপিকা অনিতা বসু পাফকে সংবর্ধনা দেন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং নেতাজী অনুরাগী জয়দীপ মুখার্জি। এই সংবর্ধনা শুধু নেতাজির উত্তরাধিকারকেই নয়, তাঁর পরিবারকেও সম্মান জানানোর এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে জয়দীপ মুখার্জি অধ্যাপিকা পাফ-কে নেতাজীর একটি আলোকচিত্র সহ আরও কিছু উপহার ও স্মারক উপহার দেন। জয়দীপ মুখার্জি জানান এটি তাঁর পক্ষ থেকে নেতাজির চিরন্তন উত্তরাধিকারকে সম্মান জানানো এবং তাঁর পরিবারকে শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। অধ্যাপিকা অনিতা বসু পাফ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের দুই অধ্যায়—ভারত ও ইউরোপের সংযোগকারী এক গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত। সংবর্ধনা গ্রহণ করে তিনি জানান, “সারা বিশ্বের ভারতীয়রা আজও তাঁর পিতার প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পোষণ করে চলেছেন তা তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে”। তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “ভারতের মানুষের হৃদয়ে আজও বাবার স্মৃতি জীবন্ত, যা আমাদের পরিবারের জন্য এক গর্বের বিষয়।”
আবেগঘন অভিজ্ঞতা
অন্যদিকে জয়দীপ মুখার্জির কাছে এই সাক্ষাৎ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ছিল এক বিশেষ আবেগময় অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “যিনি কোটি কোটি ভারতবাসীকে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁর কন্যার সামনে দাঁড়ানো ও তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি।”
বিশ্বজনীন নেতাজীর প্রভাব
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আবারও প্রমাণ করল নেতাজি কেবল ভারতের সীমার মধ্যে নন, বরং বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধেয় এক মহান বিপ্লবী। তাঁর অবদান ও আত্মত্যাগ আজও নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা, সাহস ও দেশপ্রেমের শিক্ষা দিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে এই উদ্যোগে নেতাজির পরিবারের অবদানকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যারা আজও তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখার কাজে নিয়োজিত।
ঐতিহাসিক তাৎপর্য
ইতিহাসবিদদের মতে, অনিতা বসু পাফ নেতাজির ভারতীয় জীবন ও ইউরোপীয় অধ্যায়ের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন। আউগসবর্গের এই অনুষ্ঠান তাই কেবল সংবর্ধনা নয়, বরং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ ও পুনর্মূল্যায়নের এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান আজও ভারতীয় সমাজ ও রাজনীতির চেতনায় প্রাসঙ্গিক। আউসবার্গ – এ অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেই চেতনারই এক নবায়ন ঘটল, যা প্রমাণ করল—নেতাজির স্মৃতি অম্লান, তাঁর প্রভাব চিরন্তন।












