শুভজিৎ মিত্র,কলকাতা:গত ২১শে আগস্ট আমাদের এই প্রাণের শহর কলকাতায় এক অভিনব উদ্যোগের নজির গড়ল সংবেদন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।তাঁরা বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসে প্রবীণ নাগরিকদেরকে স্মার্ট ফোনে স্বাচ্ছন্দ্য করার জন্য একটি বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।
প্রবীণ নাগরিকদের মোবাইল বান্ধব করে তোলার প্রয়াস
বর্তমানে গোটা বিশ্ব ডিজিটাল ও টেক্ ফ্রেন্ডলি হয়ে ওঠার নেশা হয় মত্ত।আর তাতেই সমস্যায় মুখে পড়তে হচ্ছে,আমাদের পরিবারের সেই সকল বয়স জেষ্ঠ মানুষদের।যাদের বহু আত্মত্যাগ ও প্রচেষ্টার পরিণাম হিসাবে এই বর্তমান ঝাঁ চকচকে পেয়েছি,তাঁরাই কিনা স্মার্ট এজে তালমিলিয়ে চলতে না পারায়,বর্তমান সমাজে ব্রাত্য।এইসব বয়স জেষ্ঠ মানুষদের নিয়ে এক অভিনব ভাবনা কাজ করতে দেখা গেল এই কলকাতা শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংবেদনকে।তাই শহরের এমন কিছু প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে ফোন বান্ধব করে তোলার একটু আলাদা প্রয়াস শুরু করেছে তাঁরা।
সংবেদনের উদ্যোগ
গত ২১শে আগস্ট,২০২৫-এ সংবেদনের পক্ষ থেকে কলকাতার মুচিবাজারে খোলা হাওয়া মুক্ত মঞ্চে শহরের মোবাইল বান্ধব নন এমন কিছু প্রবীণ মানুষদের নিয়ে একটা স্মার্টফোনের ব্যবহার সংক্রান্ত ‘ফ্রি সেশন’ করা হয়।পাশাপাশি বর্তমানে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা সাইবার জালিয়াতির থেকে কিভাবে প্রবীণদের নিরাপদে থাকার পথ বাতলে দেন সংবেদনের একজন প্রবীণ স়দস্য।তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে চাকরি করার সুবাদে,সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বক্তব্য রাখেন।
পলিটিক্যাল ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে,সংস্থার সংম্পাদক এবং এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শ্রী সমিত সাহা জানান,সংবেদন মূলত বয়স্ক মানুষ ও দুস্থ শিশু বা বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকে।তাই প্রবীণ নাগরিকদের এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হিসাবে সামনে রেখে এই অভিনব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা রাখেন এবং পলিটিক্যাল ডেইলির মাধ্যমে আরো মানুষ যাতে এই উদ্যোগ সমন্ধে জানতে পারে।তিনি আরো বলেন,তাঁরা ভবিষ্যতে যদি কেউ প্রবীণ নাগরিকদের মোবাইল বান্ধব করে তোলার প্রয়াস করে তাহলে সংবেদনের পক্ষ থেকে তা়দের সহযোগীতা করা হবে বলে জানানো হয়।এদিন অনুষ্ঠানের মাঝে একজন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ছেলের জন্মদিন পালন করা সংবেদনের তরফে।
সংবেদনের এই অভিনব ভাবনা আগামী দিনে স্মার্টফোন বান্ধব নন এমন প্রবীণ মানুষদের যুগোপযোগী করে তুলতে পারবে বলে,আশা করা যায়।
















