এষণা কুন্ডু , নিউজ ডেস্ক ; দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় তাদের গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের আয়োজন করতে চলেছে। এই উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে পাঁচদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।
এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন শিক্ষক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তমাল চক্রবর্তী, উৎসব কমিটির সভাপতি ড. বিনয় ভূষণ সেন সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।
সাংবাদিক বৈঠকে আয়োজকরা জানান, আগামী ৩ জানুয়ারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। এই প্রভাত ফেরীতে বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করবেন। বিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাস ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্মরণে এই প্রভাত ফেরী এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে বলে জানান আয়োজকরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচদিনব্যাপী এই উৎসবে শিক্ষামূলক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান, যেখানে বিভিন্ন প্রজন্মের প্রাক্তন ছাত্ররা একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ করবেন। পাশাপাশি সমাজের প্রতি বিদ্যালয়ের দায়বদ্ধতার নিদর্শন হিসেবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও থাকছে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, সেমিনার, প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা তুলে ধরতে নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। উৎসবকে আরও বর্ণিল করে তুলতে বহিরাগত শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে বক্তারা জানান, বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে এই অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের এই আয়োজন শুধু একটি উৎসব নয়, বরং বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, শিক্ষা ও মূল্যবোধকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এক বিশেষ প্রয়াস।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে উঠবে এবং বিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাসকে আরও একবার নতুন করে আলোকিত করবে।














