Read More

জমির অধিগ্রহণ হলেও,প্রতিশ্রুতির চাকরি দেওয়া নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে সরকারের বিরুদ্ধে

শুভজিৎ মিত্র,পলিটিক্যাল ডেস্ক:সাম্প্রতিক রাজ্য-রাজনীতিতে চাকরি চুরি নিয়ে সরগরম তো রয়েছেই,তার মধ্যে আবার চাকরি নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে।.....

শুভজিৎ মিত্র,পলিটিক্যাল ডেস্ক:সাম্প্রতিক রাজ্য-রাজনীতিতে চাকরি চুরি নিয়ে সরগরম তো রয়েছেই,তার মধ্যে আবার চাকরি নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে।

চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

ফারাক্কা বাঁধের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মালদহে কালিয়াচকের হামিতপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলি হোসেনের জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

জমি অধিগ্রহণ ও বঞ্চনা

২০১৪ সালে ফারাক্কা বাঁধের জন্য চাকরি প্রার্থী মহাম্মদ আলি হোসেনের জমি অধিগ্রহণ করে,বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী চাকরি দেওয়া হবে।বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ,২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ফারাক্কা বাঁধের জন্য তাঁর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং তার জন্য রাজ্য সরকার একটি ‘ল্যান্ড লুজার সার্টিফিকেট দেয়।আর বলা হয়,যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারী চাকরি দেওয়া হবে,তিনি চাকরি ক্ষেত্রে বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত হন ও এই সংক্রান্ত একটি কার্ড দেওয়া হয় তাঁকে।এরপর তিনি ২০১৬ সালে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে অ্যাপ্লিকেশান করেন,চাকরির জন্য।সেইমতো,পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা গ্রামীণ পঞ্চায়েত অফিসের থেকে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টের এক্সামের জন্য ডাক আসে,তিনি সেই এক্সাম দেন।এরপর,বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর মূল অভিযোগ যে,তিনি তো চাকরি পেলেন না,তাছাড়া তিনি চাকরি পরীক্ষাতে পাস করেছেন‌ কিনা?তার কোনো হদিশ তিনি পাননি।

বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই ও অন্য চাকরির পরামর্শ

সাধারণভাবেই সরকারের এই বঞ্চনা ও নিজের হকের চাকরি পেতে তিনি বিগত বছরের ৫ই জুলাই ২০২৪ সালে একটি আরটিআই করেন,নিজের চাকরি পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে চেয়ে।কিন্তু তার কোনো উত্তর তিনি পাননি।এরপর মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের লিগাল এড-এর তরফ থেকে একটা নোটিস দেওয়া হয়,সেখানেও কোনো সদুত্তর মেলেনি।এরপর,তিনি ডিসেম্বর,২০২৪-এ‌ ডিপিআরডিও অফিসে যান,সেখান‌ থেকে তিনি শুধুমাত্র জানতে পারেন যে,পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এইটুকু নথি তাদের কাছে আছে।পাল্টা চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন করেন,ঠিক কতজন নিয়োগ করা হয়েছে ও রেজাল্ট জানতে চান,তখন সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে জানানো হয় তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনো নথি নেই।তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধান আধিকারিকের সাথে দেখা করেন এবং সেখান‌ থেকে জানানো হয় গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছে।
হাল না ছেড়ে হোসেন বাবু রাজ্যের মুখ্য সচিবর কাছে নিজের এই অবস্থার কথা জানিয়ে,চিঠি লিখলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
দিন কয়েক আগে,ভুক্তভোগীর কাছে রিক্রুটমেন্ট সেলের থেকে এক আধিকারিকের ফোন আসে।তিনি অনেকটাই‌ স্বহৃদয়বান হয়ে সরকারী চাকরি পেতে সাহায্য করার বদলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীকে বিভিন্ন কোর্ট ও অনান্য সরকারী চাকরির পরীক্ষা দিতে উৎসাহিত করতে থাকেন,হোসেন বাবু তাঁর ক্ষোভের কথা জানান।যাতে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।কিন্তু সেই আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়ে‌ দেন,এবিষয়ে তাদের বিশেষ‌ কিছু করার নেই,শুধুমাত্র চাকরির সুপারিশ করা ছাড়া।মহম্মদ আলি হোসেন অত্যন্ত হতাশ হয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার মাধ্যমে নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের সুরাহা চেয়েছেন।

Thank You for Reading – Political Daily

Thank you for taking the time to read our news at Political Daily.
We appreciate your trust in our platform as your source for reliable and timely Indian news.Your support encourages us to continue delivering accurate, unbiased, and impactful stories that matter to you.

Stay informed. Stay connected.
– Political Daily